বৃদ্ধাশ্রম

বৃদ্ধাশ্রম


রাজুর অশিক্ষিত বাবা মা রাজুকে কথিত টাকার শহর ঢাকায় নিয়ে আসেন কল্প বিলাস গল্প রচনা করতে।অতঃপর বহুকষ্টে রাজুকে পড়াশুনা শেষ করিয়ে ভালো চাকুরীর উপযোগী করে তোলেন।রাজু চাকরী পেয়ে বসের সন্তুষ্টি অর্জন করে শীঘ্রই ভালো পর্যায়ে চলে গেলো।অতঃপর সঙ্গীর অভাব অনুভব করায় বাবা মাকে বিয়ের বিষয়ে বলা মাত্রই রাজুর পছন্দের মেয়ের সাথে বাবা মা বিয়ের পাঠ চুকিয়ে দিলেন।রাজু নব স্ত্রীকে নিয়ে সুখে দিন কাটানোর স্বপ্ন দেখলেও রাজুর স্ত্রীর মনে কটুলতা ছিলো।শ্বশুরপক্ষ তার কাছে বাড়তি ঝামেলা সাদৃশ্য।তথাপিও বহুদিন অশিক্ষিত শ্বাশুড়িকে সহ্য করার পর রাজুর কানে বাবা মায়ের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক ও কুরূচিপূর্ণ কথা বলল এবং বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসার প্রস্তাব দিলো।স্ত্রী পরিচালিত রাজু তার স্ত্রীর প্ররোচনায় বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমের অভিশপ্ত আঙ্গিনায় রেখে আসলো।বাবা মা কষ্ট পেলেও মুখে কিছুই না বলে শুধু দোয়া করলেন যেন সন্তান সুখে থাকে।বাবা মায়ের দোয়ায় রাজু সুখী-ই ছিলো।তবে তা স্থায়ী ছিলো।যায় হোক,রাজুও একদিন বাবা হলো।একটা নয় ১ জোড়া সন্তানের বাবা হলো।সন্তানদিগকে মানুষ করলো।অতঃপর সন্তানরা বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করে তাদেরকেও বৃদ্ধাশ্রমের কষ্টদায়ক বারান্দায় রেখে আসলো। রাজু নিজের বাবা মায়ের কথা স্মতিমন্থন করে স্ত্রীকে একটা থাপ্পড় দেওয়ায় স্ত্রী রাগত স্বরে বলল,এই থাপ্পড়টা ২০ বছর আগে দিলে আমরা আজ এখানে থাকতাম না হয়তো।
reality.specialtyintelligencee.blogspot.com

No comments

Powered by Blogger.